Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জুলাই ২০২৫

সূচনা

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা দেশের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন ও জাত উন্নয়নে কাজ করছে। ঢাকা থেকে ৩৬ কিলোমিটার উত্তরে জয়দেবপুরে ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তান ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে এর যাত্রা শুরু। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর এ প্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংশোধনী) অ্যাক্ট, ১৯৯৬ এবং ব্রি অ্যাক্ট, ২০১৭ অনুযায়ী একটি (বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মহাপরিচালক এ বোর্ডের চেয়ারম্যান, যিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী। এ প্রতিষ্ঠানের ১৯টি গবেষণা বিভাগ, ১৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ০৬টি স্যাটেলাইট স্টেশন, তিনটি সাধারণ সেবা এবং আটটি প্রশাসনিক শাখা রয়েছে। এখানে ৩১৮ জন বিজ্ঞানী/কৃষি প্রকৌশলী/ কর্মকর্তা সহ মোট জনবল রয়েছে ৮০৬ জন। বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এমএস এবং পিএইচডিসহ উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ।

ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের পরিবেশে বৈচিত্র্য রয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকা খরাপ্রবণ, মধ্যবর্তী এলাকা বন্যাপ্রবণ এবং উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চল লবণাক্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। বৈচিত্র্য অনুসারে তিনটি প্রধান কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে মূলত জমি, মাটি আবহাওয়া এবং জলবায়ুর তারতম্যের ভিত্তিতে। এ বৈচিত্র্য ধান উৎপাদনে ব্রি’র বিজ্ঞানীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। নতুন ধান জাত উদ্ভাবনের গবেষক এবং উৎপাদন  অন্যান্য প্রকৌশলীরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্রি সদর দপ্তরে কাজ করছে। এ কারণে দেশের কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ফেনীর সোনাগাজী, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক কার্যালয় এবং খুলনা, চট্রগ্রাম, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, সিলেট, ময়মনসিংহতে স্যাটেলাইট স্টেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানে আধুনিক গবেষণার সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রয়েছে গবেষণাগার, গ্রিন হাউজ, এবং পরীক্ষণ মাঠ। ব্রি'র রয়েছে একটি আধুনিক জার্মপ্লাজম ব্যাংক, ২০টি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার, দশটি গ্রিন হাউজ, দশটি নেট হাউজ এবং ৭৬.৮৩ একর পরীক্ষণ মাঠ (সদর দপ্তরে)। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে আধুনিক গবেষণা সুবিধা, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্র সিরাজগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জ। 

ভিসন (রূপকল্প):
আধুনিক উফশী ধানের জাত ও উন্নততর, নিরাপদ ও লাভজনক উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন।

মিশন (অভিলক্ষ্য):
  • কৃষকবান্ধব টেকসই ধানের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জীববৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখা
  • প্রাগ্রসর গবেষণার মাধ্যমে নতুন ও উন্নততর, ক্রমহ্রাসমান সম্পদ সাপেক্ষ জলবায়ু বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন
  • এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর ও গ্রহণ ত্বরান্বিতকরণ।